রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
পূর্বঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর নতুন করে আরও ৫ দাবি যোগ করে আবারও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও একমাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক ও হামলাকারীদের আটক করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাবির পরিবহন চলাচল করতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে এসেছি। আমরা চাই না এ বিষয় নিয়ে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ুক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এবং প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে সরানো না হলে কোনো সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব নয়। এছাড়া রাকিবকে মারপিট করা পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি ও উসকানি দাতাদের বিচারও করতে হবে।
এছাড়া আহত ও প্রো-ভিসির কার্যালয়ে অপমানের শিকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে সমাধান বের করার চেষ্টা কররা হবে বলেও জানান তারা।
সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে তার একটি বিস্তারিত রূপরেখা চাই। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবির অধীনে চরম ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, ঢাবির অধীনে আমাদের পরিচয় সঙ্কটের বিষয়টি। সরকারকে আমাদের সমস্যার বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনেছে, দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং সবশেষ চূড়ান্তভাবে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের আশ্বাস দিয়েছে। সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু গতকাল সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ছয় দফা দাবির একটি বাস্তবায়ন হয়েছে, বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আরও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এরপর সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাবো।’
এ সময় তিনি পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে —
১. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
২. এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩. সব বর্ষের চলমান পরীক্ষা পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী চলমান রাখতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে চলমান সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আগামী দুই দিনের মধ্যে টেবিলটকের আয়োজন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার