রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:১২ অপরাহ্ণ
সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
বৈঠকে সাত কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের দুইজন ও ইডেন মহিলা কলেজের একজন শিক্ষার্থী।
বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় দফা দাবির একটি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৫ দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম ছিল। দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে ধীরে ধীরে মানা হবে।’
এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে গত রোববার পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কথা বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ পাঁচ দাবির অগ্রগতি জানতে তারা অধ্যাপক মামুনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় অধ্যাপক মামুন ছাত্রদের অপমান-অপদস্থ করে বের করে দেন। এরপর সেখান থেকে বের হয়েই এর প্রতিবাদে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এর প্রায় সাড়ে চার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন তারা। এসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের বাসভবন ঘেরাও করতে যান। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায়। আহত হন বেশ কয়েকজন।
রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সোমবার নিজ নিজ কলেজের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দেন।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে একটি জরুরি সভায় করেন। সভা শেষে উপাচার্য জানান, অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না। চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। কিন্তু উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় থাকেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে চিহ্নিত, বিলুপ্তি চায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ