শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১৭ মাঘ, ১৪৩১ | ৩০ রজব, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমনি


আদালতে পরীমনি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মাথায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি জামিন পেয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মোহাম্মদ জুনায়েদ তা মঞ্জুর করেন।

মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই পরীমনির বিরুদ্ধে ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ আদালতে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।

এর আগে গতকাল রোববার আসামি পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে পরীমনি ও জুনায়েদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন আজ আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পারসেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

 

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন।

নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন।

উল্লেখ্য, একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন: পরীমনির জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর