রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:৩২ অপরাহ্ণ
নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, সময়ক্ষেপণ করা হয় তাহলে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নূন্যতম যে সংস্কার আছে সেই সংস্কারগুলো করে দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত। আমরা বলতে চাই যে, নির্বাচনে কে আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকারকে তো গুরুত্ব দিতে হবে। সেটার জন্য আমরা লড়াই করেছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন। এখন জোর করে যদি সেই বিষয়টিকে বিতর্কিত করে ফেলা হয় তাহলে জনগণ আবার তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, সময় ক্ষেপণ করা হয় তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন রকম প্রোগ্রাম আছে, কর্মসূচি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে একটা বিষয়ে কিন্তু সবাই একমত যে একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন তো শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, নির্বাচন একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য একটা পথ সৃষ্টি করা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে সব সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে। তাহলে কি আমরা চার পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করবো বা যতদিন সংস্কার হবে ততদিন ধরে অপেক্ষা করবে জনগণ, যে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে অনেক কথা উঠছে বিভিন্ন মহলে এবং সেই কথাগুলো এমনভাবে বলা হচ্ছে যে আরও নতুন নতুন তর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা সোজা কথায় যেটা বুঝি সাধারণ মানুষ এটা বোঝেন পরিবর্তনের পরে তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চান।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বতী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সমাজের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে সেই অবস্থায় আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না যে আমাদের সেই প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তবে একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনের সময়। কথাটা বলার কারণ আছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। আমি তাই অনুরোধ করব, প্রত্যাশা করব আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সেই নিরপেক্ষতা পালন করবেন এবং দেশে যে সংকট আছে সেই সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তারা কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: গোপন কারাগারে শিশুদেরও আটকে রাখতেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ