রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ রোববার তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জানা যায়, আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সাকিব ছাড়াও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। আজ আসামিরা হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
সাকিব ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ২০২৩ সালে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজির দায়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিব আল হাসানকে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিবের ব্যবসায় হাতেখড়ি রেস্টুরেন্টের মাধ্যমে। এরপর ধীরে ধীরে পুঁজিবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেন। সবশেষ যুক্ত হন ফুটওয়্যার ও ই-কমার্স ব্যবসায়। মোনার্ক মার্ট সাকিব আল হাসানের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলতে ভারতে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ