রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ওসি আল-আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ইন্সপেকশন বাংলোর (পদ্মা) রুম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় ওসি হিসাবে যোগদান করেছিলেন আল-আমিন। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার বাসিন্দা। আজ সকাল ১১টা ১ মিনিটে থানার পুলিশ সদস্য আজিজুল হক মোবাইল ফোনে অফিসের কাগজপত্র স্বাক্ষরের জন্য ফোন করেন। ফোনে ওসি আল-আমিন জানান তার একটু দেরি হবে।
জানা যায়, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওসি অফিসে না আসায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুস ছালাম থাকে ডাকতে যান। ছালাম থানার দ্বিতীয় তলার রুমে গেলে দেখতে পান, রুমের দরজা খোলা কিন্তু ভিড়ানো অবস্থায় রয়েছে। রুমে ঢুকে তিনি দেখতে পান, ইন্সপেকশন বাংলোর (পদ্মা) উত্তর পাশে রুমের মধ্যে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছায় ঝুলে আছে ওসি আল-আমিনের মরদেহ। এ সময় তার পায়ের সঙ্গে লাগানো বসার চেয়ারও দেখতে পান তিনি। পরে আব্দুস ছালাম থানার সবাইকে বিষয়টি জানান।
এরপর পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন, অর্থ), ডিআইও-১ শরীয়তপুর, ডিবির ওসি (শরীয়তপুর), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জাজিরা হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ওসি আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এখন পর্যন্ত ওসি আল-আমিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ ও ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। ময়নাতদন্তের পর বাকি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ওসি আল-আমিনের মরদেহ তার রুমের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন সহকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সুপারসহ অন্যরা। তার পরিবারের সদস্যরা আসার পর তাদের ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহ নামানো হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রকৃত ঘটনা জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারের পর থানা থেকে পালালেন সাবেক ওসি