রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
চাপের মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে যখন শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে ঠিক তার পরদিন জানা গেল তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির খবর।
দিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে তার বিরুদ্ধে দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে চিঠিও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত সরকার।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে গত মাসের ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানায় ঢাকা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ভারতে শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।
এদিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির করতে বলেছে ট্রাইব্যুনাল।
বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ৭৪ জনের হত্যাযজ্ঞের তদন্তের অংশ হিসেবে তারা শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতে যেতে চান।
হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক, যেতে দেওয়া হলো না চীনে