মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২৩ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ রজব, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

হদিস মিললো সেই মেজর জিয়ার, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন


সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়া

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ

দীর্ঘ ১৪ বছর পর হদিস মিলেছে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার। এরই মধ্যে সাতটি মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকের দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায়, তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

আজ শনিবার মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেন জানান, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে গত ২৯ ডিসেম্বর নিজের নামে থাকা ৭টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে, মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার ও তার নামে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন মেজর জিয়া।

এই আইনজীবী জানান, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জিয়া তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার মাধ্যমেই এসব আবেদন করেছেন মেজর জিয়া। ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি।

এদিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে মেজর জিয়া অডিও কলে বলেন, ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। এভাবেই বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের সকল বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।’

 

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।

মেজর জিয়া বলেন, ‘শুরুতে এক সময় আমাকে জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে এক সময় আল কায়দা বলা হয়েছে, পরে আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায়।’

প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হন বর্তমানে পুলিশের খাতার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। পুলিশ কখনও তাকে আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো-বা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় তাকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। মেজর জিয়া ব্লগার দীপন, অভিজিত, জুলহাজ হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়, মেজর জিয়াকে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তা প্রত্যাহারে গত ২৫ ডিসেম্বর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে লিখিত আবেদন করেছেন মেজর জিয়া।

আরও পড়ুন: সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচাতেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয় ভারত

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর