রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান সেনাপ্রধান। তিনি প্রায় ৪০ মিনিটের মতো সেখানে অবস্থান করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে এসেছিলেন সেনাপ্রধান। এসময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ওনার সহধর্মিণী ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট ফিরোজায় ছিলেন।’
তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধান বাসভবনে পৌঁছালে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর তাকে স্বাগত জানান।
ফজলে এলাহি আকবরকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির জানান, ‘সেনাপ্রধান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেজন্য তিনি দোয়া করেছেন।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা রয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট মুক্তির পর ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাসহ অনেকে ফিরোজায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় তার।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপর থেকেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় আছেন তিনি।
এরপর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পরপর বিএনপি নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছিল বিগত সরকার। এর মধ্যে তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও বারবার তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশেষ ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত ২১ আগস্ট গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া