রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:০১ অপরাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি তার লন্ডন যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে এটা নিশ্চিত নয়। সবকিছুই খালেদা জিয়ার শারীরিক চিকিৎসার ওপর নির্ভর করবে।
দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন।
জানা গেছে তার সফরসঙ্গী হবেন-খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।
গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থগিত করতে হয় এটি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে সিসিইউতে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় তার।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপর থেকেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় আছেন তিনি।
এরপর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পরপর বিএনপি নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছিল বিগত সরকার। এর মধ্যে তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও বারবার তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশেষ ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত ২১ আগস্ট গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, খোঁজা হচ্ছে বাসা