রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২১ অপরাহ্ণ
অবশেষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের কপাল খুলেছে। প্রায় তিন মাস পর তাদের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। একই সাথে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়ার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন।
আজ বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
দেশের বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নিতে সহায়তার অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং মামুন মিয়ার সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করে বিএনপি। সেই সাথে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙ্গে দেয় কেন্দ্র।
সদস্যপদ স্থগিতের আগে আবু সুফিয়ান, এনামুল হক এনাম ও মামুন মিয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কারণ জানাতে এই তিন বিএনপি নেতা সেদিন ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। কিন্তু তিন বিএনপি নেতার জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি কেন্দ্র। তাই তাদের দলীয় সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
আজ তিন বিএনপি নেতার কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা পত্রে বলা হয়, এখন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আপনারা কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে দল আশা রাখে। ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আপনারা সতর্ক থাকবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে কালুরঘাট শিল্প এলাকার (বিসিক) মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে ১৪ বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। গাড়িগুলোর মধ্যে ছিল বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ, অডি, পোরশে ও রেঞ্জরোভার। নগরীর একটি ওয়্যারহাউস থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন মডেলের এসব দামি গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, আমাদের কোনো অপরাধ ছিল না। এস আলম গ্রুপের গাড়িকাণ্ডে সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের কারণে জনমনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় দলের হাইকমান্ড আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ওই ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।’
আরও পড়ুন: এস আলমের গাড়িকাণ্ডে কপাল পুড়লো সুফিয়ান-এনামের