রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
দেড় মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছড়িয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারে থাকলেও ধীরে ধীরে তা হ্রাস পেয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মান নির্ধারণ এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রাখার কারণে রিজার্ভ ১৯ থেকে ২০ বিলিয়নের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিনই রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমদানি বৃদ্ধির কারণে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে। প্রথমটি হলো-বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়।
তৃতীয়টি হলো- ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। যা বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় আছে।
এই ইতিবাচক প্রবণতা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ২১ দিনে এলো ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি