সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন


২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনে সাতজন সদস্য রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে সই করে দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্তের দাবি ওঠে। তখন বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের কথা জানায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ বিষয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। পরে নানা সমালোচনার মুখে সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে মর্মান্তিক নৃশংস বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন সকাল ৯টা ২৭ মিনিট। দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়ে। সিপাহি মঈন নামে একজন বিডিআর সদস্য মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এরপরই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা।

 

বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে। পুরো পিলখানায় এক ভীতিকর বীভত্স ঘটনার সৃষ্টি করে।

এ সময় তারা বিদ্রোহের নামে বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ছাড়া নারী ও শিশুসহ ১৭ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়।

পিলখানায় নারকীয় এই হত্যার ঘটনায় দায়ের করা হয় দুটি মামলা। এর মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের নিহতের ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে করা হয় হত্যা মামলা। অপরটি হয় বিস্ফোরক আইনে। বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি ১৫ বছর ধরে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যে আটকে আছে।

হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ২০১৪ সালে ১৫২ বিডিআর জওয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৬১ জনকে। সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান আরো ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জওয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় আরো ২০০ জনকে। খালাস পান ৪৫ জন।

আরও পড়ুন:

সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ডিজি মইনুল

১৫ বছরেও অজানা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তা

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর