বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩ পৌষ, ১৪৩১ | ১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে ৫ দিনের মধ্যে কমিটি


২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে কমিটি গঠন করছে সরকার। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে পাঁচ থেকে নয় সদস্যের এ কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা থাকবেন। কমিটি গঠন করার পরে কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে সে বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।

 

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্তের দাবি ওঠে। তখন বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের কথা জানায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ বিষয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।

গত রোববার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অসন্তোষ জানাতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।

স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন একটি তদন্ত প্রয়োজন বলে ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অনেকে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাহিনীটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আরও পড়ুন:

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তা

১৫ বছরেও অজানা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর