রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জুলাই-আগস্টে চলা গণহত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক দুই মন্ত্রীকে। এ সময় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে এজলাসে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়রকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাদের।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ০৩/২০২৪ নম্বর মামলার পরোয়ানায় কামরুল ইসলাম এবং আমির হোসেন আমুকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর তাদের রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সেখান থেকে তাদের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের অধীনে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
এরও আগে গত ৬ নভেম্বর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে। গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরইমধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক সচিবকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: আদালতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল হুমকি দিয়ে বললেন, ‘এই দিন দিন না’