রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
হাইকোর্ট জামিন বহাল রাখায় সাড়ে তিন বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
তবে জেল থেকে বের হয়ে বাবুল আক্তার কোনো কথা বলেননি। পুলিশ পাহারায় তিনি চলে যান। তার পক্ষে আইনজীবী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তার কারামুক্তির আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষা করেন স্বজনরা। ভিড় করেন উৎসাহী লোকজনও। বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতির আগে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা ২০২১ সালের ১২ মে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর ফেনী ও চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। আদালতে কয়েক দফা জামিনের আবেদন করা হলেও তা না মঞ্জুর হয়। চলতি বছর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।
গত ২৭ নভেম্বর তার আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে মামলার বাদী বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আজ জামিন বহাল রাখেন। এরপর তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরের দিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল আক্তার। তবে মামলার তদন্তে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে একই দিন চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে দ্বিতীয় মামলা করেন মিতুর বাবা ও সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। সেদিনই এ মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
এ মামলায় ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
বাবুল আক্তারের সঙ্গে অন্য ছয় আসামি হলেন-কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১২ মে থেকেই বাবুল আক্তার কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার