বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে যা বললেন প্রণয় ভার্মা


বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমাশনার প্রণয় ভার্মা

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:০৬ অপরাহ্ণ

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমাশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কারণ নেই, আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায় ভারত।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমাশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান। পরে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠকের সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদপত্র রাষ্ট্রদূতকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, আমরা পারস্পরিকভাবেই দুই দেশ নির্ভরশীল। আমাদের অনেক উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে দুই দেশ লাভবান হচ্ছে। যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহ, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অনেক পজিটিভ উন্নয়ন উদ্যোগ আমাদের আছে।

 

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সর্বশেষ দুই মাসে আমাদের পরস্পর সহযোগিতার জন্য ইতিবাচক কিছু উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের অনেক ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সামনে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করে যাবো।

এর আগে, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা-ভাঙচুর ও ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয়।

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। এ ঘটনায় ত্রিপুরায় মঙ্গলবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগরতলার হামলার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।

রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কোনো সংগঠন বা জনতার পক্ষ থেকে কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি না এলেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের আগরতলায় সোমবার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এ হামলা চালায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়: আসিফ নজরুল

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর