রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, প্রকাশের সময় :২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:১৭ : পূর্বাহ্ণ
দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। গত তিন দিন ধরে এ এলাকায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাফেরা করছিল। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নেমে গেছে।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় তেঁতুলিয়া এখন তীব্র শীতে কাঁপছে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে শীত উপেক্ষা করেই নিজ নিজ কর্মে যেতে দেখা গেছে পাথর শ্রমিক, দিনমজুর, চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষদের।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা মানুষের। কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজনের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, শীত পড়ে গেছে। ভোরে খেতে পাতা ও ফুলকপি, ধনিয়াপাতা, লাউ শাক, লাউ তুলতে গেলে গাছের পাতায় জমা শিশিরের স্পর্শে বরফের ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে হাত অবশ হয়ে আসে।
দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় পিষ্ট হাসনাত-সারজিসের গাড়ি, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ