প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান ও মো. মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে আমাদের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্প্রতি উদ্ভুত পরিস্থিতি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইসকন পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি কলেজের সমস্যা নিয়ে দলের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো। আমরা তা জানিয়েছি। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে দ্রুত বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে যেন বিভাজন তৈরি না হয়। চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জনগণের দুর্ভোগের কথাও জানিয়েছি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছি। যাতে করে তারা দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য কাজ করেন। টিসিবির ট্রাকগুলোকে বাড়ানোর জন্য বলেছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার যে মামলাগুলো করেছে, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করার ব্যাপারে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়েও বলেছি, যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সংস্কারগুলোকে সম্পূর্ণ করে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য বলেছি। একটি রোডম্যাপ অত্যন্ত জরুরি। এই কথাগুলো আমরা তাদেরকে বলেছি।’

আরও পড়ুন: ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ