রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ৩:১৩ : অপরাহ্ণ
ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে এবং যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মনিরুজ্জামান নামের এক আইনজীবী।
আজ বুধবার গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে আদেশ প্রার্থনা করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।
বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।
আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সারাদেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেনো আদালত না নেয়। কারণ সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন এক নম্বর এজেন্ডা।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এরা (ইসকন) কারা? এদের পরিচয় কী?
হাইকোর্ট আরও বলেন, চট্টগ্রাম-রংপুরে এসব কী শুরু হয়েছে?
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আমাকে একটা দিন সময় দিন। আগামীকাল এ বিষয়ে জানাবো।
এ সময় উচ্চ আদালত বলেন, তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেউ যাতে অবনতি করতে না পারে। ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ কালকের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হলে সেখানে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা।
এ সময় বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেন উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সমর্থকরা। আলিফ সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আরও পড়ুন: ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম