রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, প্রকাশের সময় :২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১:২৭ : অপরাহ্ণ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুমা উপজেলায় কেএনএ’র ওই গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে অভিযান চালানো হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন কেএনএ সদস্য নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি।
অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানায় আইএসপিআর।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ সময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এ ছাড়া গত ২২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়। সে সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিনের সদস্যরা বান্দরবানের রুমায় ফিল্মি কায়দায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা।
এরপর, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে র্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়। ৫ এপ্রিল সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই ঘটনার পর পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন তাদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করে। গত ৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সংগঠনটি পাহাড়ি সাত উপজেলায় নিজেদের শাসন জারি করার কথা জানায়। এ লক্ষে সেখানে সশস্ত্র বাহিনীও গঠন করতে চায় সংগঠনটি।
ফেসবুকে পোস্টে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)।
ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ৭ উপজেলায় নিজেদের শাসন চায় কুকি-চিন