বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সরকার যতোদিন চায়, ততোদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে: সেনা সদর


আজ ঢাকা সেনানিবাসে প্রেস ব্রিফিং করেন কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ৩:৩৩ : অপরাহ্ণ

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন সেনা সদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার।

আজ বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রশাসনকে ৬০ দিন সহায়তা করতে এই তথ্যটি সঠিক নয়। ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কত দিন থাকবে এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। কারণ সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে, সরকারই এটা নির্ধারণ করবে কত দিন মোতায়েন থাকা প্রয়োজন।’

সেনাবাহিনী মাঠে থাকা অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই, আমাদের সেই চেষ্টা রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেন না ঘটে এ ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।’

৫ আগস্টের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সড়কেও কাজ করছে সেনাবাহিনী। আর সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণহীন।

ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসেনি। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্বটা পুলিশের। স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করলে সেখানে সরকারের অনেকগুলো সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আছে। যদি এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যেখানে আমাদের সহায়তার প্রয়োজন, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। আমরাও মনে করি এটার স্থায়ী একটা সমাধান দরকার।’

 

বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে গার্মেন্টস শিল্পে সংকট চলছে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে কর্ণেল ইন্তেখাব হায়দার জানান, সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর বেশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশের ২০৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় সবগুলোই এ মুহূর্তে চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি ৭০০-এর বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়া সম্প্রতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিকমাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কর্ণেল ইন্তেখাব হায়দার বলেন, ‘এ বিষয়ে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত তিন মাসে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আড়াই হাজার জনকে।

আরও পড়ুন: মেয়ের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে মুজিবের ছবি সরানো হয়েছে: মাহফুজ আলম

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর