রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৯ নভেম্বর, ২০২৪ ৬:০৫ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে আজ আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আগামীকাল রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে। ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে দলটি এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। দলটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বর্তমানে যে রূপে আছে তাতে এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ করার কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সমাবেশ, মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণশক্তি দিয়ে সেগুলো মোকাবিলা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার সহিংসতা বা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকেই বরদাশত করবে না।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজন দলীয় নেতাকর্মীদের শহীদ নূর হোসেন দিবসে মিছিল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মিছিলে তাদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এতে যদি কেউ যদি বাধা দেয়, কোন হামলা করে। তাহলে তো সেটা ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ট্রাম্পের কাছে পাঠাব। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাধা দেওয়ার ছবি ট্রাম্পকে পাঠিয়ে বলা যাবে দেখো ইউনূস সরকার কী করছে। সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার তো ইউনূস। ২৫০ জন এসআইয়ের (ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর) চাকরি দিলো না, তাদের বের করে দিলো।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘মিছিলে ভালো লোক জমায়েত যেন হয়, সে ব্যবস্থা করবা। মিছিলে নূর হোসেনের ছবি থাকবে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা প্লেকার্ড রাখবা। আমাদের অনেক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট পোড়ানো হয়েছে। এর তথ্য বের করতে হবে। আমরা সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় করে নেবো।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস