রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৪১ : অপরাহ্ণ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।’
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় আওয়ামী লীগ। ওই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গ তুলে একজন ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে বিবেচনা করছে। তার জবাবে ভারত সরকারের ওই অবস্থান তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গণভবন ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর পর থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে আছেন। তবে তাকে কোন মর্যাদায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
গত ৪ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই, বিজেপির কি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো গোপন সম্পর্ক আছে? আমাদের জানান, কীসের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে ভারতে অবতরণ এবং আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন?’
গত ২৪ অক্টোবর ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটিতে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রোটোকলসহ মাঝে মাঝে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শুধু তাই নয়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ ও ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় কেন, প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর