রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ৭:০১ : অপরাহ্ণ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করা গণভবন পরিদর্শনে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি গণভবনকে দ্রুত জাদুঘরে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার গণভবন পরিদর্শনে গিয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
ড. ইউনূস বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে গণভবনে বাস করছিলেন। যা দমন ও তার নৃশংস শাসনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। যে জাদুঘর তৈরি হবে, সেখানে তার (শেখ হাসিনার) দুঃশাসনের সময়কালের স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের চিহ্নগুলো থাকা উচিত।’
প্রধান উপদেষ্টা ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনের সময় বলেন, ‘আয়নাঘর (গোপন বন্দিশালা), যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থা শত শত বৈষম্যমূলক এবং বিরোধী কর্মীকে গোপনে আটক করেছে, তার একটি প্রতিরূপ গণভবনের মুসুইমে নির্মাণ করা উচিত। গোপন বন্দিদের ওপর আয়নাঘরে যে অত্যাচার হয়েছে তা দর্শকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত।’
ড. ইউনূস পরামর্শদাতাদের জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেছেন। তিনি তাদেরকে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ফেসবুক পেজে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং প্রতিবাদ নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সাধারণ ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা থেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার মুহূর্তের মধ্যে গণভবনে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী প্রবেশ করেন। তারা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে রকমারি গ্রাফিতি আঁকেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:
গণভবনে ঢুকে মানুষের বিজয় উল্লাস
গণভবনকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ তৈরির সিদ্ধান্ত