রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ৩:১৫ : অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে-এ নিয়েই এখন তীব্র কৌতূহল বিরাজ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন থাকবেন কী থাকবেন না, এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সেসময় বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের মনে হয়, এই সেট-আপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেট-আপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্মূল্যায়ন করছি।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।
এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে সরাতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, আহত ৫