আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর থানা ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে সেখানে আপাতত কোনো আসামিকে রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় মিরপুর থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো আপাতত জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মধ্যরাতে হঠাৎ রহস্যময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সুমন লিখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
প্রায়ই বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলতেন ব্যারিস্টার সুমন। এবার নিজের আটকের খবরটি নিজেই ফেসবুকে জানালেন।
উল্লেখ্য, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও তা পাননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এই আইনজীবী। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচিত হন তিনি। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল