রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৯:০১ অপরাহ্ণ
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রগুলো জানায়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন উপদেষ্টা। আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
তাদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীও সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন। তবে সেসব শিক্ষার্থী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। উপদেষ্টাদের মধ্যে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপদেষ্টাদের আলোচনার বিষয়ে সূত্র জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং আপিল বিভাগের বর্তমান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নেওয়া হয়। আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দিয়ে স্পেশাল রেফারেন্স পাঠানোর পরেই উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জোরালো হওয়ার পর থেকে সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন দুই উপদেষ্টা।
এদিকে আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সমাবেশে একই দাবি জানিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে এই সমাবেশ ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন, না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো আপনাকে পালাতে বাধ্য করাবে।
আরও পড়ুন: এ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম