রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:১৫ : পূর্বাহ্ণ
২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল চিটাগাং চেম্বারের অব কমার্সের মালিকানাধীন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আবাসিক ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদে ২৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন মোহাম্মদ ফারুক। ৯ বছরের মাথায় তিনি চিটাগাং চেম্বারের সেক্রেটারির দায়িত্ব পান। সেক্রেটারির চেয়ারে বসার পর ফুলেফেঁপে উঠে তার সম্পদ। জমি-প্লট কিনেছেন প্রায় ৩ কোটি টাকার, সঞ্চয়পত্র কিনেছেন প্রায় ১ কোটি টাকার, ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ১ কোটি টাকা, বানিয়েছেন কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি। সবমিলিয়ে তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। চিটাগাং চেম্বারের এই কর্মকর্তার সম্পদশালী হওয়ার চিত্রনাট্য রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার ফারুক। চিটাগাং চেম্বারকে দীর্ঘ ১৬ বছর কব্জায় রাখা এম এ লতিফের আশীর্বাদে বদলে যায় ফারুকের ভাগ্য।
এম এ লতিফের ছত্রছায়ায় ও যোগসাজসে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ‘হরিলুট’ করে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৪ হাজার থেকে ফারুকের বেতন ঠেকেছে ২ লাখ ৬৬ হাজারে
চিটাগাং চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল থেকে চেম্বারের মালিকানাধীন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আবাসিক ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) পদে ২৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেন ফারুক। চার বছর পর তার বেতন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ২০১২ সালে তাকে ইনক্রিমেন্ট (বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি) দেওয়া হয় ১৩ হাজার টাকা। দুই বছর পর আরও ৪ হাজার টাকা বেতন বাড়ানো হয়। এর দুই বছর পর আরও ১৫ হাজার ৩৭৪ টাকা ইনক্রিমেন্টে দেওয়া হলে তার বেতন দাঁড়ায় ৫৬ হাজার ৩৭৪ টাকা। ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে ফারুক চেম্বারের সেক্রেটারি ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর অবিশ্বাস্য অঙ্কে তার বেতন বাড়তে থাকে। ওই বছরই তাকে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয় ১৪ হাজার ৭৯০ টাকা। পরের বছর ইনক্রিমেন্ট পান আরও তিন গুনের বেশি, ৪৫ হাজার ৬০২ টাকা। দুই বছর পর তাকে আরও ২২ হাজার ১৮৫ টাকা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একলাফে ফারুকের বেতন বাড়ে ৭৭ হাজার ৬৪৭ টাকা! যা চিটাগাং চেম্বারের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ২৪ হাজার দিয়ে চাকরি শুরু করে ১৬ বছরের মাথায় ফারুকের বেতন ঠেকেছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪০ টাকায়।
জানা গেছে, চিটাগাং চেম্বারের ইতিহাসে ফারুকের আগে কোনো সেক্রেটারি এতো উচ্চ বেতন পাননি। ফারুকের আগে চেম্বারের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করা ওসমান গনি চৌধুরী বেতন পেতেন ৩০ হাজার টাকা। এমনকি এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সেক্রেটারি জেনারেলও ফারুকের মতো মোটা অঙ্কের বেতন পান না।
কী কারণে ফারুকের বেতন দফায় দফায় বাড়িয়ে আড়াই লাখের ওপরে উন্নীত করা হয়েছে তা নিয়ে চেম্বারের কর্মকর্তারা প্রশ্ন তুলছেন।
চেম্বারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ফারুক অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। ২০১২ সালের দিকে তিনি তৎকালীন সংসদ সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে চেম্বারে লতিফের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হয়ে উঠেন তিনি। এ কারণে ফারুকের বেতন অবিশ্বাস্য অঙ্কে বাড়তে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি তো সাধারণ কেরানি না। আমার একটা মার্কেট ভ্যালু আছে। মার্কেট রেটের চেয়ে আমার বেতন ছাড় দেবো না। দরকার হলে প্রতিষ্ঠান আমাকে বের করে দিক। আমার চেম্বারে চাকরি করার দরকার নেই। আমি আমার ভ্যালু হারাবো না।’
এম এ লতিফের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমার তো কারও সাথে শত্রুতামি করার সুযোগ নেই। বোর্ড যেভাবে নির্দেশ দেবে, আমাকে সেভাবে কাজ করতে হবে।’
৩ কোটি টাকার জমি-প্লট
২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে ফারুক সেক্রেটারি ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তার সম্পদ ফুলেফেঁপে উঠে। প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি-প্লট কিনেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাউজানের সুলতানপুরে ১৫ শতক জায়গা কেনেন ফারুক। রাউজানের সুলতানপুর মৌজায় প্রতি ২ শতক জমির বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে ১৫ শতক জমির দাম দাঁড়ায় দেড় কোটি টাকা।
এরপর ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীর পাহাড়তলীতে প্রায় ২ শতক জায়গা কেনেন ফারুক। যার বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ২৫ লাখ টাকা।
এরপর উত্তর কাট্টলী থেকে ফারুক চলে যান সীতাকুণ্ডে। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের নর্থ টেরিয়াল এলাকায় ২ শতক জায়গা কেনেন তিনি। যার বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ১৫ লাখ টাকা।
এরপর ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর রাউজানের পশ্চিম রাউজান গ্রামে প্রায় তিন শতক জায়গা কেনেন তিনি। যার বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটিতে প্রায় ১ কাঠা প্লট কিনেছেন তিনি। এই প্লটের বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ লাখ টাকা।
হিসাব করে দেখা যায়, ফারুকের এসব জমি ও প্লটের মূল্য ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এসব সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘আমি কি চুরি করে এসব সম্পত্তি অর্জন করেছি? আমি যে বেতন পাই তাতে এসব সম্পত্তি অর্জন করা তো অস্বাভাবিক না।’
রাউজানে নির্মাণ করছেন কোটি টাকার আলিশান বাড়ি
ফারুকের গ্রামের বাড়ি রাউজানের জলিল নগরে পশ্চিম রাউজান পাড়ায়। ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়িতে তার পরিবার বসবাস করেন। সেই বাড়িতে একটি একতলা আলিশান ভবন নির্মাণ করেছেন ফারুক। এক বছর আগে ২ কাঠা জায়গার ওপর এই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি।
গত ১২ অক্টোবর সকালে এই প্রতিবেদক ছদ্মবেশে ফারুকের রাউজানের গ্রামের বাড়িতে তার আলিশান ভবনটি দেখতে যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ভবনটিতে টাইলস, পেইন্টিং এবং দরজা-জানালা লাগানোর কাজ চলছে।
একজন নির্মাণশ্রমিক এ প্রতিবেদককে জানান, বাড়ির মালিকের কাছ থেকে শুনেছি, ভবনটির নির্মাণকাজে এ পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আরও তো কিছু কাজ বাকি আছে। সবমিলিয়ে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাড়ির মালিক ইঞ্জিনিয়ার, তিনি ভবনটির ডিজাইন নিজের মনমতো করে করেছেন। এমন আলিশান বাড়ি এই গ্রামে আর নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘১৮ বছর চাকরি করে আমি কি বাড়ি-ঘর ছাড়া থাকবো? একজন ব্যাংকের অফিসার ৫-৬ বছর চাকরি করে বাড়ি করতে পারলে আমি ১৮ বছরে পারবো না কেন?’
কার ও মাইক্রো ‘কিনবেন’ ফারুক
ফারুকের রাউজানের গ্রামের বাড়িতে তার নবনির্মিত ভবনের সামনে কার ও মাইক্রো রাখার জন্য পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে।
একজন নির্মাণশ্রমিক এই প্রতিবেদককে জানান, বাড়ির মালিক কার ও মাইক্রো কিনবেন। তাই আমরা পার্কিং নির্মাণ করছি।
ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন কোটি টাকা
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘আমরা প্রকৌশলী’ ও ‘মেসার্স এপি ট্রেডিং’ নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ফারুকের। এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
কিনেছেন কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র
তিন কোটি টাকার জমি-প্লট, কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি এবং ব্যবসায় কোটি টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রায় কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রও কিনেছেন ফারুক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফারুক ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। তবে কোন কোন ব্যাংক থেকে তিনি এসব সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তা জানা যায়নি।
তবে ফারুক রাজনীতি সংবাদের কাছে ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র কেনার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি। অথচ তিনি তার আয়কর ফাইলে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
নেই কোনো ব্যাংক ঋণ
ফারুক তিন কোটি টাকার জমি-প্লট কিনেছেন, কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি বানিয়েছেন, সঞ্চয়পত্র কিনেছেন কোটি টাকার এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন কোটি টাকা। তিনি ছয় কোটি টাকার মালিক হলেও তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। রাজনীতি সংবাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ‘হরিলুট’ করে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণ ও সংস্কার কাজে হরিলুট করে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি নগরীর আগ্রাবাদে চিটাগাং চেম্বারের অর্থায়নে নির্মিত ২৪ তলা বিশিষ্ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়। ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে একতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) ছিল।
চিটাগাং চেম্বারের হিসাব শাখা সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই এস্কেলেটর স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই সচল এস্কেলেটর মাত্র ২৮ লাখ টাকায় টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করে দেন ফারুক।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজেশ করে ফারুক ৫ কোটি টাকার এস্কেলেটর মাত্র ২৮ লাখ টাকায় টেন্ডার দেন। বিনিময়ে ফারুক ঠিকাদারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের কমিশন নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইতে মোহাম্মদ ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘চেম্বারের বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে এই এস্কেলেটর টেন্ডার দেওয়া হয়েছিলো। আর টেন্ডারের সিডিউলের মূল্য বোর্ড সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। এস্কেলেটরটা প্রয়োজন ছিল না বিধায় এটা খুলে ফেলা হয়েছে।’
ফারুকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে, তিনি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বিভিন্ন সংস্কার কাজে ‘নয়-ছয়’ করে বিপুল অর্থ লুটপাট করেছেন। এ ছাড়া চিটাগাং চেম্বারের পুরনো ভবনের সংস্কার কাজেও তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
খোদ চেম্বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেক্রেটারি ফারুককে ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
এই দাবিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে মানববন্ধন করেন চেম্বারের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতারা জানান, সেক্রেটারি ফারুক চেম্বারে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।
এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ফারুক রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম হলেন চেম্বারের গোপন শাখার কর্মচারী। তিনি ইউনিয়ন করেন কীভাবে? তিনি তো ইউনিয়ন করতে পারেন না। এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা কনভেন্স, ওভারটাইম ও মেম্বারশিপ নিয়ে বাণিজ্য করতো। আমি এসব বন্ধ করে দিয়েছি বলে তারা এখন সবাই আমার পেছনে লেগেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৩১ আগস্ট চিটাগাং চেম্বারে ইঞ্জিনিয়ার ফারুককে লাঞ্চিত করেন একদল ব্যবসায়ী। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফারুকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন চেম্বারের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা। এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আন্দোলনের ‘ভয়ে’ তিনি গত দেড় মাস ধরে অফিসে আসছেন না বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম চেম্বারের ভোটের লড়াইয়ে নামতে পারেন আলোচিত ৫ ব্যবসায়ী