শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


শেখ হাসিনা

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারের অংশ হিসেবে গণহত্যা ঘিরে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।

ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, র‍্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতা বিরোধী অপরাধের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

ট্রাইব্যুনালে আসা ৫৬টি অভিযোগের মধ্যে ৫৪টিতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সংঘটিত গুম-হত্যা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে চালানো গণহত্যার বিচার করবে এই ট্রাইব্যুন্যাল।

 

গত ১৫ অক্টোবর নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রসঙ্গত, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।

আরও পড়ুন: ভারতে ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ পেয়েছেন শেখ হাসিনা!

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর