দুই মাসের ব্যবধানে আবারও পরিবর্তন এসেছে সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা-ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে। সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
আজ সোমবার ডিজিএফআই ডিজিসহ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি পদে রদবদল আনা হয়।
প্রায় দুই মাস ধরে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসা মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমানকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম এর আগে কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্বে ছিলেন।
গত ১২ আগস্ট ডিজিএফআইয়ের ডিজির দায়িত্ব পান ফয়জুর রহমান। এর আগে আগে তিনি মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।
এদিকে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) জিওসি মো. মাইনুর রহমানকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট আর্টডকে পাঠানো হয়েছিল। আর আর্টডকের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে বানানো হয়েছিল কিউএমজি।
এক মাসের মাথায় গত ১২ সেপ্টেম্বর তাবরেজকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আর মজিবুরকে করা হয় বরখাস্ত। এরপর থেকে দুটি পদই খালি ছিল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর মেজর জেনারেল হামিদুল হককে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরুর পর সেনাবাহিনীতে কয়েক দফা রদবদল করা হয়। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং বরখাস্ত করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে।
আরও পড়ুন:
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদে রদবদল
ডিজিএফআইয়ের সাবেক আরও দুই ডিজিকে বাধ্যতামূলক অবসর
