বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

যেভাবে পালিয়ে ভারত থেকে রাশিয়ায় গেলেন শাহরিয়ার


সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৩৩ : পূর্বাহ্ণ

শাহরিয়ার আলম রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের চারবারের সংসদ-সদস্য (এমপি)। এর মধ্যে দুই দফায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররাও ভারত পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে অনেকেই এখনও ভারতে অবস্থান করছেন মোদির আশীর্বাদে। তবে কেউ কেউ ভারত থেকে চলে গেছেন অন্য দেশে। তাদের মধ্যেই একজন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শাহরিয়ারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাঘা-চারঘাটের বাসিন্দারা বলছেন, ৪ আগস্ট বিকালেও শাহরিয়ার তার আড়ানির বাসায় ছিলেন। সন্ধ্যার পর থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ৫ আগস্ট খুব ভোরে তিনি বাড়ি ছেড়ে সড়কপথে গেদে সীমান্তে পৌঁছান। এরপর তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে থাইল্যান্ড হয়ে এখন তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।

 

শাহরিয়ার মূলত ছিলেন ব্যবসায়ী। ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন তিনি। তখন হলফনামায় ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ১৬ বছরে অভাবনীয় উত্থান ঘটে। রীতিমতো কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বনে যান শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য-নিশ্চয়ই তিনি রূপকথার গল্পের ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পেয়েছেন।

বাঘার পার্শ্ববর্তী নাটোরের লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার কন্যা সিলভিয়া পারভীন লেনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহরিয়ার। প্রভাব খাটিয়ে লেনির মা রোকসানা মর্ত্তুজাকে ২০২১ সালে মেয়র বানান শাহরিয়ার। লেনিকে লালপুরে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি করে দেন। ঢাকার গুলশানে লেনিকে ৩ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন। এছাড়া গুলশানে নিজের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি।

শাহরিয়ার আলম দেশ ছাড়িয়ে রাশিয়া, ব্রাজিল ও চীনে খুলেছেন নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গড়েছেন আটটি পোশাক কারখানা। নিজের রেনেসাঁ গ্রুপের নামে ‘দুরন্ত’ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজশাহী-৬ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাহরিয়ার আলম। ২০১৪ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন। ২০১৮ সালেও একই পোর্টফোলিও ধরে রাখতে সক্ষম হন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে: চিফ প্রসিকিউটর

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর