রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ৪:৩৪ : অপরাহ্ণ
এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন-ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ. রবিনসন।
একটি দেশে কিভাবে প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কী প্রভাব ফেলে তা অধ্যয়নের জন্য সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা।
বিশ্বের কিছু দেশ কেন গরীব এবং কিছু দেশ ঠিক কী কারণে ধনী হয়ে থাকে তা ব্যাখ্যা করেছেন এই তিন অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় কি না তা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোশ্যাল সায়েন্সে ব্যাংক অব সুইডেন পুরস্কার’ নামে পরিচিত। এই পুরস্কারটি নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একই ধরনের মর্যাদা বহন করে। তবু এটি আলফ্রেড নোবেলের মূল পাঁচটি পুরস্কারের অংশ নয়, যা তিনি ১৯০১ সালে প্রবর্তন করেছিলেন। মূলত ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ৩০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছিল। কিন্তু অন্য পুরস্কারের সঙ্গে একই সময় ঘোষণা এবং সমমর্যাদার হওয়ায় এটি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার নামে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এ বছর ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্র, ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য ও ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কারজয়ীর নাম প্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে এ বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। নারী শ্রম বাজারের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানবৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এই সম্মাননা পান তিনি।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর নোবেল পুরস্কার দিয়ে থাকে । সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৯ সালে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি।
প্রতিবছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিন ১০ ডিসেম্বর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলো জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকায়ো