মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১১ রবিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১২ অক্টোবর, ২০২৪ ২:৩১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আজ শনিবার মধ্যরাত (১২টা ১ মিনিট) থেকে নদী ও সাগরে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। মা ইলিশ রক্ষা ও স্বাচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীগুলোতে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে দিয়ে এ বছরের ইলিশের মৌসুম শেষ হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী এই ২৭ জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।

 

মৎস্য মন্ত্রণালয় দেশের নদ-নদীগুলোর সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ভোলা জেলার মনপুরা, ঢলচর, নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার কালিরচর ও মৌলভীর চরকে ইলিশের বিশেষ প্রজনন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দি পয়েন্ট, ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দিন হতে পশ্চিমে সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া হতে গণ্ডামারা পয়েন্ট প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র।

আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।

২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।

তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবশ্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে পুলিশ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর