রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১:৩০ : অপরাহ্ণ
ডিবি অফিসে আর কোনো আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ের কলঙ্কিত অধ্যায় শেষ করে পরিষ্কার ও পবিত্র করা হবে, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। থাকবে না কোনো আয়নাঘর ও ভাতের হোটেল।’
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবি পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার, উপ-কমিশনার ও ডিসি মিডিয়া।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘কোনো নায়ক-নায়িকা বা সেলিব্রেটির সময় কাটানোর জায়গা হবে না ডিবি অফিস। থাকবে না ভাতের হোটেল। আসামী যেই হোক তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। গ্রেপ্তার আসামীদের নির্যাতন করা হবে না। ডিবি অফিসের নাম শুনলে আর কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়, আমাদের শুধু যেন অপরাধীরাই ভয় পায়। আমি যতদিন ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করব, ততদিন ন্যায়নিষ্ঠ, পেশাদারিত্ব ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো ইনশাআল্লাহ।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘বিগত সময়ে উচ্চাভিলাসী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও বিগত সরকারের পতনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখে পুলিশ বাহিনী কখনও দাঁড়ায়নি। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইজিপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতায় ডিএমপির সব থানা ও ডিবির কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে।’
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘আমি যতদিন ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করবো, ততদিন ন্যায়-নীতি, পেশাদারিত্ব ও সত্যতার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো। যারা অসহায়-ভুক্তভোগী তাদের কথা শুনবো। তাদের কিভাবে আইনগত সহায়তা করা যায় সেটাই দেখবো। ডিবিকে মানুষের আস্থা ও ভালবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের ডিবি অফিস হবে ভুক্তভোগীদের ভরসার স্থান।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ডিবির কোনও সদস্য যদি কোনও ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’
গত ১ সেপ্টেম্বর ডিবি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি ১৭তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা। বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন ১৯৯৮ সালে। এর আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: মারধরের পর ছিলেন হাসপাতালে, এখন কোথায় ডিবি হারুন?