রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ প্রকাশের সময় :১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:০৩ : পূর্বাহ্ণ
অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছেন স্থানীয় জনতা।
বাকি দুইজন হলেন-একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও প্রাইভেটকার চালক সেলিম।
আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে স্থানীয়রা।
উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামামাঝি এলাকা থেকে তাদের আটকের পর ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত চারজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
শ্যামল দত্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। মোজাম্মেল হোসেন বাবু ভাই আমাকে বলার পর আমি তার সঙ্গে যোগ দেই। পথে ১০টি মোটরসাইকেল পথরোধ করে আটকিয়ে আমাদেরকে কিলঘুসি দিয়ে টাকা চায়। এক পর্যায়ে আমার মানিব্যাগ চেক করে ৩০০ টাকা পায়। টাকা নিয়ে মানিব্যাগটি ফকিন্নি বলে আমার মুখের উপর ফেলে দেয়। পরে আমাদের সবার কাছে চেক করে যা ছিল সব নিয়ে যায়। এরপর কি হইছে আমি বলতে পারবো না।’
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আটকৃতরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক এ অভিযোগ দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যায় উস্কানিদাতা হিসেবে যে ৩২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ