সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী নূর ও বিমানপ্রতিমন্ত্রী মাহবুব গ্রেপ্তার


সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৪৫ : অপরাহ্ণ

সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রোববার রাতে রাজধানীর বেইলী রোড থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে এবং সেগুনবাগিচা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আসাদুজ্জামান নূরকে মিরপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপরদিকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ৯ম জাতীয় সংসদের বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর গঠিত মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

১৯৬৩ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৬৫ সালে তিনি নীলফামারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে মাহবুব আলী হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে গত নির্বাচনে তিনি ব্যারিস্টার সুমনের কাছে হেরে যান।

২০০৩-২০০৪ মেয়াদে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর একে একে ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক এমপি সাদেক খান এবং কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর