রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, বগুড়া প্রকাশের সময় :১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৬:১১ : অপরাহ্ণ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছরে ৩০ হাজার মানুষকে গুম, খুন করেছেন উল্লেখ করে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি, ওই সব গুম-খুনের বিচার করতে হবে।
আজ শনিবার দুপুরে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। পঁচাত্তর সালে তার বাবাকে কেন খুন করেছিল, কেন অভ্যুত্থান হয়েছিল ১৫ আগস্ট সেকথা তিনি ভুলে গেছেন। এজন্য আমি বলে থাকি, পৃথিবীতে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এতো নির্মম, এতো বর্বর কোনো শাসক ছিল কি না আমার সন্দেহ হয়।’
শেখ হাসিনাকে মানসিক প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের শুধু এ কারণে বিচার হওয়া উচিত যে, মানসিক প্রতিবন্ধী শেখ হাসিনাকে এত বছর ধরে এ দেশের মানুষের কাঁধের ওপর তারা বসিয়ে রেখেছিল। মানসিক বিকারগ্রস্ত শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য।’
মামুনুল বলেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে এক নজিরবিহীন মর্মান্তিক ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে সাধারণ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানো যায় আজকে একবিংশ শতাব্দিতে এসে যা কল্পনা করা কঠিন। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর মনে রাখতে হবে, পতিত স্বৈরাচারী শক্তি বসে নেই। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিজয় ছিনতাই করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
খেলাফত মজলিশের মহাসচিব বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসররা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে বসে আছেন। আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার যুদ্ধ কলুষিত করার জন্য। আমাদের সকলকে সোচ্চার থাকতে হবে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায়।’
আরও পড়ুন: গুম-খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে এই জিয়াউল আহসান