রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৪:৩১ : অপরাহ্ণ
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক দুই মহাপরিচালককে (ডিজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন-লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের অবসর কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর মেজর জেনারেল হামিদুল হককে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে।
২০২১ সালের ৪ জুলাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দেড় বছর পর তাকে পদোন্নতি দিয়ে ডিজিএফআই থেকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (অ্যার্টডক) জিওসি করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে অ্যার্টডক থেকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমসি) পদে বদলি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গেত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাত্র ২২ দিনের বিক্ষোভে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের।
গত ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লাখো মানুষের সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
পরদিন ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতাকে প্রতিরোধ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামে। এ দিন সারাদেশে ১৪ পুলিশ, শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ঘেরাও করতে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেদিন রাস্তায় নেমে আসেন লাখো মানুষ। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের।
ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে। এরপর বদলে যেতে শুরু করে দেশের সার্বিক চিত্র।
এরপর প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে রদবদল শুরু হয়। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীতে কয়েক দফা বিভিন্ন শীর্ষ পদে রদবদল হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি সাইফুল বাধ্যতামূলক অবসরে, মুজিব বরখাস্ত