বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সব ‘আয়নাঘর’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৯:২১ : অপরাহ্ণ
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Rajnitisangbad Facebook Page

নিরাপত্তাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব আয়নাঘর (গোপন বন্দিশালা) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. ইউনূস বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য পৃথক একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র ও ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যথী। আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা গাঁথা বের হয়ে আসছে।’

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আর যেন কোনো স্বৈরাচারের হাতে পড়তে না হয়, আমরা যাতে বলতে পারি একটি গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি, সকলেই যাতে দাবি করতে পারি যে এই দেশটি আমাদের-আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের বিরোধী নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে আয়নাঘরে (গোপন বন্দিশালা) রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে।

 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক স্বজনের দাবির মুখে তিনজন বন্দিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে। দীর্ঘ আট বছর আয়নাঘরে গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট মধ্যরাতে তিনি পরিবারের কাছে ফিরে আসেন।

একই দিন আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমান। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আহমদ বিন কাসেমকে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে গুম করা হয়েছিল। তিনি প্রয়াত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে।

এ ছাড়া আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা। তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল।

আরও পড়ুন: ‘আয়নাঘর’ নিয়ন্ত্রণ করতেন তারিক আহমেদ সিদ্দিক

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর