কয়েকদিন ধরে চলা গুঞ্জন অবশেষে সত্যি হলো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন পাঁচ কমিশনার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিতে হলো আউয়াল কমিশনকে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কমিশনের অন্য চার সদস্য হলেন-অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে কমিশনারদের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আইডিকার্ড ছাড়া ভিতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সাংবাদিকদের সামনে আসার আগে বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ করে নির্বাচন কমিশন।
ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাও মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের পদ ছাড়তেই হবে। তাই পদত্যাগের জন্য তারা মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন।
তবে নিজেরাই পদত্যাগ করবেন, নাকি এ নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে তা বোঝার চেষ্টায় ছিলেন এতোদিন। এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় আজ সংভাদ সম্মেলন ডেকে পদত্যাগ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। এই নির্বাচন কমিশন গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমালোচিত হয়েছে। নির্বাচন বর্জন করেছিলো বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলো ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগের গুঞ্জন, কাল জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন সিইসি
