রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৮:২৯ : অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল ছিলো না, বরং আওয়ামী লীগ ছিলো একটা ধর্ম। পোষাকে খাবারে সব জায়গায় আওয়ামী ধর্ম চালু করেছিল। ধর্মের অবয়বে শেখ মুজিবকে নবী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল তারা। মুজিববাদকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সবসময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছে। বিচার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘাড়ে বন্দুক রেখে পুজিবাদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে তারা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘৫ জুলাই যখন হাইকোর্টের রায় হয় শিক্ষার্থীরা সেই রায় প্রত্যাখ্যান করে এবং আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের শুরুর দিকে গত ১৮ বছর ধরে চলে আসা ‘ট্যাগিং ব্লেমিং’ যে বিষয়টি ছিলো অর্থাৎ যখনই কেউ দাবি নিয়ে মাঠে আসতো তখনই তাকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ফাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হতো।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের রাজনীতি করলে তখন তাদের কোনো যৌক্তিক দাবি জানানোর অধিকার ছিলো না। বিষয়টিকে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান মেনে নিয়েছিল। আর এ কারণেই শুরুতেই দাবির চেয়ে এটি অরাজনৈতিক আন্দোলন এ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের সংবিধানকেই আমাদের সংবিধান করা হয়েছিল। বাহাত্তরের প্রণীত যে সংবিধান জাতীয় সংবিধান হওয়ার কথা ছিল, তা আওয়ামী লীগের সংবিধানে পরিণত হয়েছিল। এই সংবিধানকে আমরা বাংলাদেশের সংবিধান হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। আমরা কখনো প্রশ্ন করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা