রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০৪ : পূর্বাহ্ণ
পুলিশের সাবেক দুই আইজি এ কে এম শহীদুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক আইজি শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে ডিবি হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি সূত্র জানায়, আগামীকাল শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
সাবেক এই দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৪ সালের শেষদিন আইজির দায়িত্ব পান এবং ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
শহীদুল হকের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তার ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশের ৩১তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপূর্বে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এর আগে তিনি শাল্লা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ বছর গুম থাকার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ব্রিগেডিয়ার আজমী