রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:৫৮ : অপরাহ্ণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিক্ষোভ করে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আজ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্তদের শাস্তি বাতিল এবং তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রেসিডেন্টের এ নির্দেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল হামাদ আল শামসি তাদের সাজা বাস্তবায়ন বন্ধ এবং দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করার আদেশ জারি করেছেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট এই ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তির জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে আইনজীবীকে সাহায্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যখন উত্তাল পুরো বাংলাদেশ। একের পর এক বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে সব আন্দোলনের ভয়াবহতা দেখে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশেরাও। বিভিন্ন দেশে হয়েছে মিছিল। তেমনই এক মিছিল করতে গিয়ে আরব আমিরাতে আটক হন ৫৭ বাংলাদেশি।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরপর দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
পরে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট অব আপিল ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অননুমোদিত বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। দেশটির দণ্ডবিধিতে বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিপন্ন করাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: আবার ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু