রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৫:০৯ : অপরাহ্ণ
সাত বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রাক্তন ইনচার্জ এসআই জাবেদ মিয়া ও নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
নিহত নুরুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-টাইগার নাসের, মো. লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ বাছইন্না, সেকান্দর, জসিম, খালেক, বাবুল, মো. রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির এবং মো. মোর্শেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে দুইজন পুলিশের পোষাক পরিহিতসহ অন্য আসামিরা নগরীর বাসা থেকে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে করে নুরুল আলম নুরুকে তুলে নেন। ওই দিন রাতেই তাকে চোখ-মুখ বেঁধে, শারীরিক নির্যাতন ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরদিন ৩০ মার্চ পুলিশ নুরুলের লাশ উদ্ধার করে।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিকেলে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের ঠেলারঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীরে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর লাশ পাওয়া যায়।।
লাশ উদ্ধারের পর নুরুর মাথায় গুলি এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাশটি হাত-পা রশি দিয়ে ও শার্ট দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া মুখের ভেতর ওড়না ঢোকানো পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুরুকে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকায় তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
নুরুর পরিবার ও বিএনপি-ছাত্রদলের দাবি, নুরুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে পুলিশ।
নুরুর বাড়ি রাউজান উপজেলার গুজরা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কমলার দীঘিরপাড় এলাকায়।
নুরু চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।