রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২৪ ৮:০৮ : অপরাহ্ণ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজনীতিবিদদের মতো আত্মগোপনে চলে যায় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেক মানুষ। যাদের একজন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আর মসজিদে নামাজ পড়াতে আসছেন না তিনি।
এ অবস্থায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারীকে। আগামীকাল শুক্রবার সেখানে জুমার নামাজ পড়াবেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররমের খতিব ৫ আগস্টের পর মসজিদে নামাজ পড়াতে আসছেন না। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও যোগদান করেননি। তাই নতুন একজন খতিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিগত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।
মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান হিফজুল কুরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেছেন। এ ছাড়া, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
সৌদি আরবের ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া, ওআইসি যুব কেরাত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা অর্জন করেছেন।
এর আগে, তিনি মিশর, জর্দান, আলজেরিয়া ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন ও বিভিন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।