বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

ভারতে থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে শেখ হাসিনার


সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১১:৪১ : অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে যখন জল্পনা-কল্পনা চলছে, তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার কূটনৈতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এর মধ্য দিয়ে তার ভারতে থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা, তার উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য ও তাদের সহধর্মিণীসহ সকল সদস্যের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। কমপক্ষে দুটি তদন্তকারী সংস্থার ছাড়পত্রের পরেই সাধারণ পাসপোর্ট জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে এসব ব্যক্তিদের।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাতিল হওয়া কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোনো পাসপোর্ট নেই।

ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশির কাছে কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট আছে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। শনিবার পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে ২০ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন।

ঘড়ির কাঁটা বলছে, দেশটিতে শেখ হাসিনার বৈধভাবে অবস্থানের সময় ফুরিয়ে আসছে। ফলে আর মাত্র ২৫ দিন পর বৈধ উপায়ে তার ভারতে থাকার সময় শেষ হয়ে যাবে। এরপর তিনি হয়ে যাবেন অবৈধ।

 

ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশির কাছে কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট আছে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা যখন দেশ থেকে পালান তখন তার কাছে শুধু লাল পাসপোর্টই ছিল। সাধারণ সবুজ পাসপোর্ট ছিল না। কূটনীতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় শেখ হাসিনার ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে।

২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। এতে বলা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায় করা মামলার আসামি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। এছাড়া যদি মামলা ‘ন্যায়বিচার না করার উদ্দেশ্যে করা হয়’ তাহলেও দুই দেশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ না করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আরও পড়ুন:

ডিজিএফআই দিয়ে বিচারপতি সিনহাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেন শেখ হাসিনা

দেশ ছেড়ে পালালেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর