রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

কতদিন ভারতে থাকতে পারবেন শেখ হাসিনা?


শেখ হাসিনা

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ আগস্ট, ২০২৪ ২:৪৫ : অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তাকে ও তার বোন শেখ রেহানাকে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটির ‘সেফ হাউসে’ রাখা হয়েছে। কিন্তু কতদিন শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন সেটা নিয়ে ভারত সরকারের তরফে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

এ ছাড়া শেখ হাসিনা ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন তাও জানানো হয়নি। তিনি কোনো বিশেষ ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, না কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েও সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি। সেই কারণে তার অবস্থানের বৈধতা ঠিক কী এবং সেটা কতদিন বৈধ থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, শেখ রেহেনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। কারণ তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট আছে। সেই সুবাদে শেখ রেহানা যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারেন। তবে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোম্যাটিক বা অফিশিয়াল’ পাসপোর্ট ছিল সেটা এখনো বৈধ। তার সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারেন।

 

সেই পাসপোর্ট প্রত্যাহৃত না হলে, আরও একমাস তিনি আইনসম্মতভাবে ভারতেই থাকতে পারবেন। তার সেই পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তা নাহলে এই সময়সীমার মধ্যে ভারতে তার অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, শেখ রেহানার ক্ষেত্রে অবশ্য এই জটিলতাটুকুও নেই, কারণ তিনি ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী-ফলে সাধারণ ‘ভিসা অন অ্যারাইভালে’ই (ভারতের মাটিতে পা রাখার পর ব্রিটিশ নাগরিকদের যে ভিসা মঞ্জুর করা হয়) তিনি কার্যত যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার এই মুহুর্তে অবস্থানের ভিত্তিটা হল ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’।২০১৮ সালের ১৫ জুলাই দু’দেশের মধ্যে ওই সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, সেই দেশের ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর’ ওই পাসপোর্ট বাতিল করেনি। তবে, তা বাতিল করা হলে ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্র বা সরকারের যে পদাধিকারীদের কূটনৈতিক বা সরকারি কোনো প্রয়োজনে বিদেশে সফর করতে হয়, তাদেরই এই ‘ডিপ্লোম্যাটিক’ বা ‘অফিশিয়াল’ বা ‘সার্ভিস’ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা নিপুণকে জয়ী করতে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর