শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

১৩ বছর পর হারুন-বিপ্লবের বিরুদ্ধে জয়নুল আবদিনের মামলা


২০১১ সালের ৬ জুলাই মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুককে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০২৪ ৪:০৩ : অপরাহ্ণ

১৩ বছর পর হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

আজ সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশের লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। সেদিনের ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন সে সময়ের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বর্তমানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ ও তৎকালীন সহকারী কমিশনার (এসি) ও বর্তমানে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

সেদিন সকালে জয়নাল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে বিরোধী দলের ১৫-২০ জন সংসদ সদস্য মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সামনে জড়ো হোন। ভোরবেলা তাঁরা হেঁটে সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফার্মগেট এলাকায় পৌঁছান। পরে ফার্মগেট থেকে তারা আবার মানিক নিয়ে এভিনিউয়ে ফিরে যান।

এ সময় হঠাৎ একটি বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। তখন তৎকালীন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ডিসি ইমাম হোসেন, এডিসি হারুন অর রশীদ ও মোহাম্মদপুর জোনের এসি বিপ্লব কুমার সরকার সংসদ সদস্যদের সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয়নাল আবদিন ফারুকের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ তার দিকে তেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান। পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে লাথি মারেন এবং তাকে ধরে টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় ফারুকের গেঞ্জি খুলে যায়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্যের লাঠিপেটায় তার মাথা ফেটে যায়।

 

ফারুকের মাথায় রক্ত দেখে নারী সংসদ সদস্যরা তাকে নিয়ে ন্যাম ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ আবার এগিয়ে এলে তিনি আত্মরক্ষায় ন্যাম ভবনের দিকে দৌড় দেন। পুলিশও তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে ফারুককে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

এরপরে ফারুককে উদ্ধার করে এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়ার ন্যাম ভবনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় তখন জয়নুল আবদিনের পক্ষে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফউদ্দিন নিজান থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হারুন ও বিপ্লবসহ পুলিশের ৩০ জনের মতো সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। কিন্তু ঘটনার দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জয়নুল আবদিনের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করা হয়।

এদিকে, শেখ হাসিনার পদত্যাগে সরকার পতন ও তার দেশত্যাগের পর পলাতক এই দুই কর্মকর্তাসহ দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন জয়নুল আবদিন।

আরও পড়ুন:

হারুন-বিপ্লবসহ সেই ১৫ পুলিশ কর্মকর্তা এখন কোথায়?

ডিবি হারুনের শত কোটি টাকার ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর