মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ অধিকারের


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের দৃশ্য। ফাইল ছবি
Rajnitisangbad Facebook Page

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূতভাবে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।

আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধিকারের পেজে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে দেখা যায়, ওই বছরের ৫ ও ৬ মে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৬১ জন নিহত হন।

ফেসবুক পোস্টে অধিকার জানায়, ২০১৩ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নির্বিচারে ওই হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে অধিকার। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকারের তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ৫ ও ৬ মে ২০১৩ সালে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে অধিকার।

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৩ সাল থেকে অধিকার এবং এর নেতাদের ওপর নিপীড়ন, নজরদারি, কর্তৃপক্ষের দ্বারা হয়রানি এবং সরকারপন্থী মিডিয়া দ্বারা নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে দমনপীড়ন শুরু করে।

এক দশকেরও বেশি সময় বিচারিক হয়রানির পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ রায় ঘোষণা করেন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের একটি সত্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আইসিটি আইনের অধীনে আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩১ দিন বন্দী থাকার পর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদ উভয়ের জামিন মঞ্জুর করলে একই বছরের ১৫ অক্টোবর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

গতকাল (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ১৩ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরাসহ মিলে নিরহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।

হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষকে নির্বিচার গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।

নিহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন: শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যা’: শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর